আপনি নিশ্চয়ই ক্রিপ্টোকারেন্সির সম্পর্কে জানেন, আর যদি না জানেন তাহলে জানুন যে আজকের সময়ে সোনা এবং হীরার চেয়েও দামি কিছু থাকে, তা হল ক্রিপ্টোকারেন্সি। ক্রিপ্টোকারেন্সির মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে বিটকয়েন। বিটকয়েন হচ্ছে বিশ্বের প্রথম ক্রিপ্টোকারেন্সি। ২০০৯ সালে সাতোশি নাকামোতো বিটকয়েন তৈরি করেছিলেন। বিটকয়েন হচ্ছে ডিজিটাল মুদ্রা যা শুধুমাত্র অনলাইনে ব্যবহার করা হয়। বিটকয়েনকে কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি বা সংগঠন নিয়ন্ত্রণ করে না।
Dogecoin কি?
Dogecoin হল একটি ভার্চুয়াল কারেন্সি বা ডিজিটাল মুদ্রা। শুধুমাত্র অনলাইনে লেনদেনের জন্য ব্যবহার করা যায়। অনলাইনেই Dogecoin কিনতে এবং বিক্রি করতে পারবেন। Dogecoin অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সির মতোই, একটি ডিজিটাল মুদ্রা। ২০১৩ সালে সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার বিলি মার্কাস এবং জ্যাকসন পালমার Dogecoin তৈরি করেছিলেন। সারা বিশ্বে প্রায় ১৪৭.৮০ বিলিয়নেরও বেশি Dogecoin আছে। Dogecoin ক্রিপ্টোকারেন্সির প্রতি মানুষের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। Dogecoin ক্রিপ্টোকারেন্সি একটি কুকুরের মিম থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরি করা হয়েছিল।Dogecoin এর মালিক কে?
Dogecoin এর মালিক হচ্ছে বিলি মার্কাস এবং জ্যাকসন পালমার। তারা ২০১৩ সালে Dogecoin শুরু করেন। আর দুজনেই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। তারা মজার ছলে Dogecoin শুরু করেছিলেন, যা আজ কোটি কোটি টাকার ডিজিটাল মুদ্রায় পরিণত হয়েছে। এটি পিয়ার-টু-পিয়ার অর্থাৎ ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি লেনদেনের জন্য বিলি মার্কাস এবং অ্যাডোব ইঞ্জিনিয়ার জ্যাকসন পালমার শুরু করেছিলেন। Dogecoin এর লোগোর জন্য তারা জাপানি কুকুরের একটি জাত শিবা ইনু কে বেছে নিয়েছিলেন। কেননা এই কুকুর টি আগে থেকেই অনলাইনে জনপ্রিয় ছিল। এই কুকুরের মিম থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে Dogecoin তৈরি করেছিলেন।Dogecoin এর সুবিধা কি কি?
১) Dogecoin এ জালিয়াতির সম্ভাবনা খুবই কম।২) এটি সাধারণ ডিজিটাল পেমেন্টের চেয়ে বেশি নিরাপদ।
৩) এই মুদ্রা লেনদেনের জন্য ট্রানজাক্সন ফি কম লাগে।
৪) এতে অ্যাকাউন্ট খুবই নিরাপদ কারণ এতে বিভিন্ন ধরনের ক্রিপ্টোগ্রাফি অ্যালগরিদম ব্যবহার করা হয়েছে।
৫) আপনি এই মুদ্রাতে বিনিয়োগ করেন তবে এই ক্রিপ্টোকারেন্সি আপনাকে ভবিষ্যতে একটি বিনিয়োগ রিটার্ন দিতে পারে।
Dogecoin এর অসুবিধা কি কি?
১) একবার Dogecoin-এ লেনদেন হয়ে গেলে, রিফান্ড করা যাবে না কারণ এই ধরনের কোনো সুবিধা নেই।২) যদি আপনি ওয়ালেট আইডি হারিয়ে ফেলেন বা ভুলে যান তাহলে সারাজীবনের জন্য হারিয়ে যাবে কারণ রিকোভার করার কোনো সুবিধা নাই। এক্ষেত্রে আপনার ওয়ালেটে থাকা টাকা সারাজীবনের জন্য হারিয়ে যাবে।
إرسال تعليق